আঈভাষাত শিক্ষার অধিকার / হরণ না করেন আর।

VSarkar

উত্তরবঙ্গের সউগ জেলার সউগ স্কুলত হামার ভাষাত শিক্ষার ব্যবস্থা করির নাগিবে।

নেখাইয়া: রতন বর্মা

Right to Education Act 2009 এর একটা লাইন মুই তুলি ধরিলুং, “development of physical and mental abilities to fullest extent; medium of instructions shall,as far as practicable, be in child’s mother tongue”(29-2 Article)

আর একটা জাগাত কওয়া আছে, “And when we talk of home language(s) or mother tongue(s), it subsumes the languages of home, larger kinship group, street and neighbourhood, i.e. languages(s) a child naturally acquires from her/his home and societal environment.(Ch 3, Curricular Areas) যেটার বাংলা করিলে হয়,” ঘরোয়া ভাষা বা মাতৃভাষা বলতে বাড়ির বা আত্মীয়-স্বজন এবং কাছাকাছি রাস্তাঘাট ও পাড়ার পরিবেশের ভাষার কথা বলা হচ্ছে, যে ভাষা শিশুরা বাড়ি ও কাছাকাছি অঞ্চলের পরিবেশ থেকে স্বাভাবিকভাবে শেখে।”

একটা খুব সাধারণ কতা, একটা কেলাসোত্ পড়েবার যায়া কোনো ছাওয়া যদি ভাষাগত সমস্যার জইন্যে মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ একটা নিয়ম বা সূত্র বা ব্যাকরণ বুঝিবার না পায় তাহইলে সেই ছাওয়াটা সারাজীবন বাচি থাকিয়াও পঙ্গু হয়া রবে। আজিকার এই Right to Education 2009 আইনোত্ উনার শিক্ষার অধিকার থাকিবার পরেও উনায় শিক্ষা থাকি বঞ্চিত হয়া থাকিবে ভাষাগত সমস্যার কারণে !!! পতিবছর গোটায় উত্তরবঙ্গের সউগ স্কুলগুলা থাকি কতোলা ছাত্র-ছাত্রী যে এইমতন পঙ্গু হয়া বিরি যাবার নাগিছে কারটে হিসাব আছে সেটা ??? আর এই পঙ্গু ছাওয়াছোটোলা ভবিষ্যতে কেংকরি নিড্ডারু খাড়া করি বাচিবে কবার পান ??? ইমরা বাচি থাকিয়াও মরা!!! আর হামার দুর্দশা এটিখোনা !!!

তায় জোদ্দার দাবি উঠুক সউগ রাজবংশী সংগঠনলার পক্ষ থাকি—

উত্তরবঙ্গের সউগ স্কুললাত্ হামার ভাষাত্ (কামতাপুরি / রাজবংশী)পঠনপাঠন চালু করির নাগিবে আর স্কুলের মাস্টারলাও যাতে হামার ভাষাটা আয়ত্ত করির পায় তার বাদে Workshop-এর ব্যবস্থা করির নাগিবে।

তথ্য: নতুন বই, বিশেষজ্ঞ কমিটি, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর, প:ব: সরকার।