শঙ্করদেব গত হন 1490 শকের 21শে ভাদর, শুক্লাপক্ষর দুতিয়া তিথিত।শ্রী শ্রী দামোদর চরিতত ল্যাখা আছে –
‘মধুপুরে সত্র পাতি তথাতে থাকিয়া।
বৈকুন্ঠক গেলা নরদেহক এরিয়া।’
ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের কৈচেন – “মধ্যযুগত আসামত গোটায় ভারতীয় পরম্পরা রক্ষা করা দুইজন মহান কবির জন্ম দিচিলেন – শ্রীশঙ্করদেব ও মাধবদেব। আসামের জাতীয় আর সাংস্কৃতিক জীবনত এই দুই মহাপুরুষের প্রভাব আর গুরুত্ব সৌগ থাকি বেশী। অনার্য যুগের সংস্কারপূর্ণ এখান দেশ যেটি পরবর্তীত তান্ত্রিক, শৈব আর শাক্ত ধর্মত প্রবর্তিত হৈচিল – সেই দেশক শঙ্করদেব আর মাধবদেব মানবতাবোধের শিখরত আনেন।”
শঙ্করদেবের দেহ অবসানের পর মহারাজা নরনারায়ণ কুচবিহার থাকি মধুপুরত হাটিয়া যান উমাক শ্যাষ শ্রদ্ধা জানেবার জন্যে। তোর্সা নদীর কাকতকুটা ঘাটত উমাক দাহ করা হয়। ঐ ঘাটত ভক্তলার সমাগম আর উমার পুষ্প নিবেদন এত ছিল যে গোটায় ঘাট ফুলতে ভরি যায়। সেই থাকি ঐ ঘাটের নাম হয় পুষ্পকান্তি ঘাট। কুচবিহার রাজবাড়ির পাছিলা পাকে টাকাগছের বগলতে কোনো এখান ঘাট হৈবে বুলি শঙ্করদেবের শিষ্যলা মনে করেন।
শঙ্করদেবের ধর্মের নাম হৈল্ “একশরণনাম ধর্ম”। গুরু, দেব, নাম, ভক্ত এই চাইরটা হৈল্ শরণ স্তর। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সম্পর্কে মহাত্মাগান্ধী কৈচেন – “আসাম ছচাং ভাগ্যবান, কারণ যে ধর্ম অবলম্বন করি মুই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কল্পনা করচুং ভালেদিন আগতে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব আরো সুন্দর এখনা ধর্মের ভিত্তি রচনা করি গেইচেন অহমীয়া জাতির জন্যে। মুই তার অনুশীলন করচুং মাত্র।”
“জয়গুরু শঙ্কর সর্ব গুণাকর
যাকেরি নাহিকে উপাম।
তোহারি চরণক বেনু শতকোটি
বারেক করহো প্রণাম।”
শঙ্করদেব বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের সমায় দেব নাম ভক্ত এই তিনটা শরণ স্তরের কথা কৈচেন।
“শঙ্করদেব পুনরপি দেখাইলন্ত
গুরু দেব নাম ভক্ত চিনাই দিলন্ত।”
উমার শিষ্য মাধবদেব চতুর্থ শরণ স্তর “গুরু” যোগ করিছিলেন।
Related Posts
নিজের জাত ঠিক না থাকিলে অন্যদের সম্পর্কে এমন ধারণা হয়!!
“Tistaparer Brittanto et. al.” and its Conclusion – was it Fair?
East India Youth – DRIPPING DOWN