লিখেছেন: গুড্ডু রায় , Date: 30/10/2019
কোচবিহারের ময়ূখ ব্যানার্জি থেকে শুরু করে রঞ্জন ঘোষাল, সৌরভ চক্রবর্তী, অসীম সরকার ছাড়াও অনেক কচি কাঁচাও রাজবংশীদের তথা কামতা সংস্কৃতি, ভাষা নিয়ে বেলাগাম কটূক্তি কিন্তু নতুন নয় এবং থানায় ডায়েরি করাও কিন্তু নতুন নয়। যেটা আমার মতো ইয়ং জেনারেশনরা দেখছে।
পূর্বে তো হাটে বাজারে চুল টানা, প্যান টানা, এমনকি কষিয়ে দেওয়ার ঘটনাও নাকি ঘটেছিলো যা আমরা তথা এখনকার যুবক সমাজরা দেখেনি। কিন্তু বড়দের মুখে প্রায় শোনা যেত যেটা আজকের অনেক শিক্ষিত রাজবংশীই জানে না কিংবা লজ্জায় অস্বীকার করার ভান করবে, নয়তো রাজবংশী পরিচয়ই দেবে না যা ..।
যেই জাতির মানুষ ভারত ছাড়াও দেশ, বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং মাতৃভাষা কয়েক কোটি ছুঁই ছুঁই।
তাহলে সেই জনজাতিকে অপমান করার পরেও কিন্তূ রেহাই পেয়ে যাচ্ছে, পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না থানায় ডায়েরি হওয়ার পরেও !!!
কেনো ?
আবার উল্টে যখন, উত্তরাখন্ড আন্দোলন, কামতাপুর আন্দোলন, গ্রেটার আন্দোলন হয়েছিল নিজেদের ন্যায্য অধিকার ,সংস্কৃতি রক্ষার্থে । তখন কিন্তু সেইসব আন্দোলনের লিডারদের ধরে ধরে হয় জেলে নয় এনকাউন্টার পশ্চিমবঙ্গ সরকার জোর কদমে করেছিল। এমনকি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই রাজবংশী/কামতাপুরিদের দিকেই অভিযোগের তীর ছুড়তো তদন্ত হওয়ার আগেই ..
কি মিডিয়া, কি প্রশাসন।
কিন্তু এই বীরের জাতিকে নিয়ে হিমালয় থেকে আসমুদ্র পর্যন্ত নানান আছিলায় ব্যঙ্গ, বিদ্রুপে অনেক জল বয়ে গেলেও এই একবিংশ শতাব্দীতেও কটূক্তি শুনতে পাচ্ছি।
যা কালকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও l
ভিডিওতে সেই অসীম সরকার নামক (পেশায় বাউল শিল্পী ) ব্যক্তি শুরু করল “আসামিজরা বাঙালি বিদ্ধেষী এবং আমরাই (বাঙালি) ওদের উন্নতি ঘটিয়েছি “
তারপর হাতের ভঙ্গিতে পলিয়া, নেংটি বলে রাজবংশীদের কটূক্তি করে সরাসরি রাজবংশী নারীদের বলেই ফেললেন…
“ওই জাতির নারীরা আর্ধেক দুধ
বের করে পিঠে বাচ্চা নেয় !!”
ভাবা যায় মাত্রা কতদূর পৌঁছে গিয়েছে ??
বিঃদ্রঃ অনেক রাজবংশী/কামতাপুরিই আছে যারা নিজের ভাষা জানে না কিংবা বলতে লজ্জা পায় তাঁদের উদ্দেশেই শিক্ষা ভাষা তথা বাংলায় লেখা।
Related Posts
কবিতার নাম “গোলসাঙ” – কবি সুদন্ত বর্মন
Literary work of Maharaja Harendra Narayan/Koch Bihar (Cooch Behar state).
Poetry of King Jitendranarayan /Cooch Behar /1915