এডওয়ার্ড মরড্রেক বা এডওয়ার্ড মরডেক নামে পরিচিত ; যিনি 19 শতকে জন্মেছিলেন।কিন্তু সবার মতো তার 1 টি মুখ ছিল না; বরং উভয় দিকে (মাথার সামনে ও পিছনে) তার মুখ ছিল 2 টি।
তার মনে হত তার অবাঞ্চিত মুখটি ছিল শয়তান বা দৈত্যের মুখ। কারণ রাতে যখন মরডেক ঘুমাত, সেটি নাকি জেগে থাকত আর রাতের বেলা কানের কাছে ফিসফিস করতো, ঘুমোতে দিতনা। মরডেক যখন হাসত মনে আনন্দ নিয়ে পিছনের মুখটি তখন কাঁদত আর মরডেক যখন কাঁদত ও তখন হাসত। কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না সে মুখের উপর। অবাঞ্চিত মুখটি খাওয়া-দাওয়া করতে পারতো না, দেখতে পারতো না এবং কথাও বলতে পারতো না। বিরক্ত হয়ে ঐ সয়তানের মুখ সরানোর জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েওছিলেন কিন্তু কোন ডাক্তারই সাহস পাননি অস্ত্রোপচার করতে।
অবশেষে তিনি প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগে মাত্র 22 বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
মরডেকের এই কাহিনী প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 1895 সালে “বোস্টন পোস্ট” আর্টিকেল এ যার লেখক ছিলেন চার্লস লোটিন হিলড্রেথ, একজন ফিকশন রাইটার।”1896 মেডিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যানোম্যালিস অ্যান্ড কিউরিওসিটিস অফ মেডিসিন” এর লেখক ডঃ জর্জ এম গোল্ড এবং ডঃ ডেভিড এল পাইল মরডেকের এই কাহিনী লিপিবদ্ধ করেছিলেন যেটা তিনি হিলড্রেথ এর বোস্টন পোস্ট থেকে কপি করেছিলেন। ঐ এনসাইক্লোপিডিয়া তে মরডেকের এর বিরল কেস এর বেসিক মরফোলজি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন কিন্তু মেডিক্যাল ডায়াগোনোসিস এর ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি।
Related Posts
বরফের ডিমা – প্রকৃতির আজব সৃষ্টি।
Autocar India – The Leading Automotive News Magazine in the Country
ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে সহজে ইনকাম করার উপায়। Blog Website – Blogging Income