কোচবিহারের রাজসভার বাইরাতেও মেলা কবি সাহিত্য রচনা করিছিলেন যেগুলা আইজকাল আর খুব এখনা পাওয়া যায়না। সেইনাকান করি “গোসানীমঙ্গল” রচিত হয় মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণের আমলত আর তা রচনা করেন রাধাকৃষ্ণ দাসবৈরাগী। 1899 সালত এই পুথিখান বই আকারে বির করেন গোসানীমারি স্কুলের হেডমাস্টার শ্রী ব্রজচন্দ্র মজুমদার। শ্রী ব্রজচন্দ্র মজুমদার এই বইখান বির করির কারন হিসাবে বিজ্ঞাপনের জাগাত যা লেখিছেন তা হৈল্ -“গোসানীমঙ্গল” হৈল্ কোচবিহারের আদি কাব্য। কবি রাধাকৃষ্ণ দাসবৈরাগী হৈল্ ইয়ার লেখক। এই বইওত রাজা কান্তেশ্বরের আলৌকিক জীবনকথা লেখা আছে।
যায় যায় কান্তেশ্বরের প্রাচীন কীর্তিকলাপ দ্যখার বাসনাত এটিখোনা আইসে উমরালা প্রায়ই ঐ কাব্য দেখির বাসনা করি থাকে। কিন্তুক এই পুথিখান এত দুষ্প্রাপ্য যে প্রায় সগাকে বিফলে ফিরি যাওয়া খায়। কয় বছর আগত মহারাজা (নৃপেন্দ্রনারায়ণ) ভূপ বাহাদুরের খুরা শ্বশুর কলিকাতা অ্যালবার্ট কলেজের প্রিন্সিপাল কৃষ্ণবিহারী সেন এই জাগাত আসিছিলেন। উমরা বইখানের এই নাকান সমস্যা দেখি সঙ্কলন আর পরকাশ করির আটুস করেন।গোসানীমঙ্গল কাব্য পূর্ণ মঙ্গলকাব্য নোমায়, খন্ড মঙ্গলকাব্য।
মাইথোলোজিকাল এই কাব্যত দেবী চন্ডী বা গোসানী দেবীর পূজা চালুর ব্যাপারে লৌকিক যে কাহিনীলা আছে সেই উপকরণগুলাক একে সুতাত গিটো দেওয়ার বগলাবগলি বিশেষ সমায়ের কামতা কোচবিহারের সমাজের বাস্তব ছবি পাইটুপাই তুলি ধরার চেষ্টা করিছেন কবি রাধাকৃষ্ণ দাসবৈরাগী। কোচবিহারের শ্যাষুয়া রাজবংশের আগত কামতাপুরত যে খেন রাজবংশের আধিপত্য ছিল গোসানীমঙ্গল খালি সেই রাজবংশের ইতিহাস নোমায়, মোচরমান আক্রমনত যে খেন বংশের যে বিনাশ হয় সেইটারও ইতিহাস কওয়া যায়। দেব দেবীর বিষয়লা ছাড়াও সমকালীন ইতিহাস নিয়াও ভরপুর এই গোসানীমঙ্গল কাব্য। খানচৌধুরী আমানতুল্লার মতে এই বইখান 1824 সালে ল্যাখা হৈচিল। আইজকাল আর এই পুথিখানের কোনো হদিস নাই। কোটে হারে গেইল্ বইখান কায় জবাব দিবে?
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ হরিপদ চক্রবর্তী, গবেষক ডঃ নৃপেন্দ্রনাথ পাল সম্পাদিত ল্যাখা আর কোচবিহার বিষয়ে উৎসাহী গবেষক হরিশচন্দ্র পাল মহাশয়ের সম্পাদিত ল্যাখার ভিতরা তুলনামূলক আলোচনা করি মেলা পার্থক্য খুঁজি পান। অর্থাৎ দোনেজনে নিজের নিজের মতন করি সম্পাদনা করিছিল কওয়া যায়, যার কোনো হয়ত ভিত্তিএ নাই। কবি রাধাকৃষ্ণ দাসবৈরাগী উমার গ্রন্থত মঙ্গলাচরণ অংশত নিজের আত্মপরিচয় দিচেন-
হরেন্দ্র নারান রাজা বেহারে পালেন প্রজা
যাঁর যশ ঘোষে সর্বজন।
সেই রাজ্যে করে ঘর সাধু সে করুণাকর
পরম বৈষ্ণব গুণধাম।।
তাহার তনয় এক পাইয়া চৈতন্য ভেক
চিন্তে হরি-চরণ-কমল।
তাহে আদেশিলা দেবী কহে রাধাকৃষ্ণ কবি
সুমধুর গোসানীমঙ্গল।।
পুথিখানের বিষয়বস্তু হিসাবে আছে অঙ্গনার স্বপ্নদর্শন, কান্তেশ্বরের উবজন, ভক্তিশ্বরের স্বর্গগমন, অঙ্গনার বিলাপ, কান্তনাথের দাসত্ব আর দাসত্বমোচন, চন্ডীর পত্তি কান্তেশ্বরের স্তুতি, রাজপুরী নির্মাণ, রাজ্যাভিষেক, অঙ্গনার পরলোক গমন, রাজার মোহর নির্মাণ, কান্তেশ্বর রাজার বিয়াও, জমাবন্দী, গোসানীমারি নগর গঠন, পেটলার দোল সোয়ারী, দুর্গা নটীর বিবরণ, রাজার শিকার যাওয়া, জালি – জালিনীর ঝগড়া, গোসানী থাপন, চন্ডালিনীর উপরা পূজার ভার দেওয়া, দেউরীক কাজ দেওয়া, মনোহর পরিচয়, বনমালা মনোহর কথা, কলাবতী মহীপাল প্রেমকথা, জান্তিফুল প্রেমকথা, শশীপাত্রের লক্ষ্নৌ যাওয়া, নবাবের আঠারোকোঠা আইসা আর কান্তেশ্বরের পরলোক গমন।
কামতা দ্যাশত মানসির মঙ্গল কামনাত লোকাচার আর সংস্কার মিলিয়া গোসানী ঠাকুরের পূজা প্রচলনের পাছিলাত যে কাহিনী প্রচলিত ছিল তা মানসির ভিতরা প্রচার করাই কবির মূল উদ্দেশ্য ছিল। 1634 শক বা 1712 খ্রীষ্টাব্দত “রুদ্রসিংহের বুরুন্জী” আখ্যানের সাথত গোসানীমঙ্গল গ্রন্থখানের আখ্যানের সাথত মিল খুঁজি পাওয়া যায়। 1808 খ্রীষ্টাব্দত ডঃ বুকানন হ্যামিলটনের যে রিপোর্ট সেইখানোতো রাজা কান্তেশ্বরের ভালেখান কাহিনী আছে।
রিপুন্জয় দাসের “মহারাজবংশাবলী” , খান চৌধুরী আমানাতুল্লা খানের” কোচবিহারের ইতিহাস” তেও রাজা কান্তেশ্বরের একে নাকান কাহিনী আছে। 1883 খ্রীষ্টাব্দত কৈলাসচন্দ্র সিংহর “রাজচরিত্র” লেখির যায়া ঐ একে গল্প লেখিছেন। সুতরাং গোসানীমঙ্গল এর ঐ কাহিনীটার ভিতরাত ঐতিহাসিক তৈথ্য বহুদিন আগের থাকিয়ায় নুকি ছিল বুলি মনে করা হয়। তাছাড়া হুশেন শাহের কামতাপুর আক্রমন আর খেন রাজালার কাহিনী এতো পুরাপুরি ঐতিহাসিক সৈত্য। কোচ রাজবংশের পোথোম রাজা বিশ্বসিংহর আগত 1498 খ্রীষ্টাব্দত যে হুশেন শা কামতাপুর আক্রমন আর জয় করেন। ফলে গোসানীমঙ্গলের ভিত্তি যে ঐতিহাসিক তৈথ্যতেই আছে তার আর কোনো সন্দেহই নাই।
Reference: kochbihar rajdorobarer Sahittocharcha/ S. Roy
Good information it is
Bhalo post
অনেক তথ্য জানির পালুং। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ