লোকাচার-বেদাচার-ধর্ম-বিজ্ঞান ঃ দুকুনা কথা

[10:36 AM, 10/22/2019] Kallol: সোগ জাতি মূলত দুই ধরনের আচার মানি চলে । একটা লোকাচার আর একটা বেদাচার । বৃহৎ আর্থৎ লোকাচারোক্ মান্সির উব্জনগত যাপনের ইতিহাস ধরির পারেন, যেমন সাধারণ প্রবৃত্তি, হাটাচলা খাওয়া দাওয়া, বিশ্বাস অবিশ্বাস আদি । আর বেদাচারোক্ ধরির পারের মান্সির বৌদ্ধিক্ বিকাশ ক্রমের যাপন ইতিসাসোক্ । যুদিও বেদাচার কোইতে চতুর্বেদোৎ যেমন লেখা আচে সেই মোতন আচরণ করাক্ বুঝায় । কিন্তুক সেইটা সংকীর্ণ অর্থ হয় । বেদ শব্দটার অর্থ জানা, বিদ্ ধাতু থাকি আসিচে । তাতে করি বেদের সাথোৎ অর্জিত জ্ঞানের যোগ আচে (এই জ্ঞান যেলা বিশেষ রূপোৎ ফুটি উঠে সেলায় তায় বিজ্ঞান হয়া যায়) । এই বাদে যে, মান্সি উব্জিয়ায় জ্ঞানের অধিকারী না হয় । সেইপাক থাকি বেদাচারের শুরুও মূলত লোকাচার থাকি । পরে মান্সির হৃদয়োৎ দুই আচার এমন করি জড়ে পল্টে গেইচে যে নামে ভাগ করিলেও আসোলে ইয়াক্ ভাগ করা মুশকিল্ । মান্সির জীবন প্রবাহক্ বিভিন্ন ভাগে ভাগ করি শব্দায়িত করা যেমন মান্সির বাদে হিতকর হৈচে, ঠিক আন পাকে তা অহিতের কারণও হৈচে । না হৈলে অজ্ঞান থাকি বিজ্ঞানের (লোকাচার-বেদাচার-বিশেষ অর্জিত আচার) এই যে যাত্রার ধারা, যা মান্সির একেবারে নিজের তাক্ নিয়া এত দন ঝগড়া না হৈল হয় । আজি ধর্ম আর বিজ্ঞানের দন, আজি ধর্ম আর ধর্মর দন, ক্যানে এই দন ? পত্তিটা ধর্ম গ্রন্থয় মান্সির বৌদ্ধিক চিন্তনের ফসল । যাৎ মান্সির অজ্ঞান থাকি বিজ্ঞানের যাত্রার ইতিহাস আচে । তথাকথিত ধর্মবেত্তার ঘর সেই যাত্রার ইতিসাসোক্ অস্বীকার করি ধর্মক্ গণ্ডিবদ্ধ করি দেয়, যা মান্সির জীবন প্রবাহক্ গণ্ডিবদ্ধ করিবারে সমান । তাতেকরি লোকাচার বেদাচার মিলিমিশি সদাচার আশ্রয় করি বিজ্ঞানের সাধনতে মান্সির মুক্তি । আর এইটায় ইতিহাস থাকি বর্তমান হয়া ভবিষ্যতের ধারা ।

সংঘাত থাকিবে যথারীতি
ভালবাসা থাকিবে তাও,
থাকিবে জীবন গীতি—-
না জানোঙ্ ইয়াতে কি
ভাল মন্দ আচে,
সোগ কিচু একে ঐন্যের
ঘুরে পাচে পাচে ।
আলো আন্ধারোৎ মিশে
আন্ধার মিশে আলোৎ
জগতের সোগ কিচু
সোগে সগার জালোৎ ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *