মাওয়ের ভাষার মর্ম সগায় বোঝে বাহে/ ভাষা আগ্রাসন আর কদ্দিন চলিবে?

আজি আনন্দবাজার পত্রিকা খবরের কাগজত পড়লুং দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজত নয়া ভবন উদ্বোধনের জন্যে বাংলা ভাষী মেয়র আরো ঐ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি দিলীপ অগস্তি মহাশয় মন্চ থাকি উঠি চলি যান। কারন হৈল্ অনুষ্ঠানের সন্চালিকা হিন্দীত বক্তব্য দিবার ধরছিল আর মেয়র বাংলাত কবার আটুশ করছিল কিন্তুক সন্চালিকা আপত্তি কারন জানির জন্যে পোশনো করায় মেয়র মন্চ ছাড়ি চলি যায়।

কথা হৈল্, কামতাপুরী /রাজবংশী ভাষাভাষীর মানষিলা দীর্ঘদিন ধরি যে ভাষার আন্দোলন করির ধৈরচে কলিকাতা পরিচালিত বাংলা সরকার তো বন্দুকের নল দিয়া আন্দোলন দমন করিচে একসমায়। খালি মাওয়ের ভাষা নোমায় আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক চাইরোপাকে কলিকাতা সরকার কামতাপুরী/রাজবংশী ভাষাভাষী মানষিলাক জাতাকলত ঢুকাইচিল।

আশ্চর্যের বিষয় এই যে কিছু কুচবিহারী মানষি, কামতার মানষি বাংলা ভাষা নিয়া খুব সচেতন যেলা হিন্দী তার উপরা চড়ি বৈসে কিন্তুক যে মাটিত রয় সেই মাটির ভাষার অধিকারের যেলা আন্দোলন হয়, সোসাল মিডিয়া বা পত্রপত্রিকাত ল্যাখালেখি হয় সেলা উমার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মনোভাব প্রকাশ পায় না, মুখ দিয়া সেলা টু শব্দও বিড়ায় না, উল্টা আরো বিরোধীতা করে।

বর্তমান সরকার তো আরো এক কাঠি উপরা, উমরা একটা না, একে ভাষার একেবারে দুইদুইটা ভাষা অ্যাকাডেমি বানে দিচে।খাও এলা মৌআল্লা। কাউকাস্টাং করো তোমরায় তোমরায়। ভাষার খালি  নাম চুষি খান।

কিন্তুক যতই চাল্লাকি করো বাপেরও বাপ আছে। তোমরা কদ্দিন হিন্দী ভাষা বিরোধী হৈবেন, কদ্দিন কামতাপুরী/রাজবংশী ভাষা বিরোধী হৈবেন, সমায় ঠিকে আসিবে যেলা আপনে আপ তোমরায় ভাগ হয়া যাইবেন। ইতিহাস সাক্ষী যে তোমরা খালি ভাগে হৈচেন যেমন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা-আসাম। আসলে ওলা একটাও ভাগ ছিল না, ওলা জোর করি জাগার উপরা নামের সিলমোহর বসানো। কোচ কামতার মাটির ভাষাক চুষি খায়া বাংলা সিলমোহর বসানোর যতই চেষ্টা করো কালের নিয়মে ঠিকে একদিন ঠিকে সংকটমোচন হৈবে। আর সেলাও তোমরা ইতিহাসের পাতাত ভাগ হৈল্ বুলি লেখিবেন।

হিন্দীর উপরা তোমরা এত রাগ কিসের বাহে? হিন্দীর সাথত লড়াই করি পারি উঠির পাবার ধৈরচেন না। ব্যক্তিগত ভাবে মোর কোনো ভাষার পত্তি বিরোধ, বিতৃষ্ণা নাই। কিন্তুক মোর মাতৃভাষাক যায় অবজ্ঞা, অবমাননা আর অন্যায় অবিচার করিবে তার মাতৃভাষাও সমান আর বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাইবে। 


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *