মুখা বাঁশি:
এই বাঁশি পুরাপুরি বাঁশের তৈয়ার হয়। ইয়াত কোনো ধাতব জিনিস নাই। বাঁশির মুখনল তৈয়ার হয় 2.5 ইন্চি ঘেরের ফাপা বাঁশের ঠুমা দিয়া যার মধ্যত 1 ইন্চি ব্যাস আর 1.5 ইন্চি লম্বা ফুটা থাকে। ইয়াক কয় “কুপা”। এইটাক একটা 12 ইন্চি ঢাঙা আর 1 ইন্চি ওসার বাঁশের নলের মুখত বসানো হয়। বাঁশির গাত 7টা, কোনো কোনো সমায় 8টা নগুল থোয়ার ফুটা থাকে। মাথার উপরার দিক বন্ধ কিন্তুক একদিয়ার খানেক জাগাত খানেক সরু পথের খাঁজ থাকে। “কুপা” মাথাত যেলা আটকি থাকে তার ভিতরা দিয়া বাতাস ঢুকানো হয়, সেলা তার ভিতরা যাতে বাতাস খেলির পায় ঐজন্যে এই খাঁজ। এই খাতের ঠিক নিচতে নলত একটা বড় ফুটা থাকে। “কুপা”র ফাঁপা ভাগ দিয়া বাতাস চালাইলে ফুটা দিয়া মূল নলের বড় ফুটার ভিতরা দিয়া যায়া শ্যাষ ভাগ দিয়া বিরি যায়।
ফুটার উপরা নগুল নাড়েচাড়ে সুর তোলা হয় আর কয্যোখন ফুঁ দেওয়া হবার ধৈরচে অর্থাৎ বাতাসক খ্যালানো হবার ধৈরচে তার উপরা সুরের তীক্ষ্ণতা নির্ভর করে।
মুখ ভর্তি বাতাস নিয়া কুপার উপরা ঠোঁট রাখি সেই বাতাসক বারে বারে খ্যালা খাইবে – যার জন্যে এই বাঁশি ফোকা খুবে কঠিন।
মুখা বাঁশির সুর দুঃখের, তবে অন্যনাকান সুরও বাজা যায়।
খালি “বিষহরি পূজা”র সমায় এই বাঁশি ফোকা হয়।
Related Posts
Thesis – Ethno Cultural Identity crisis – Rajbanshi – Madhab Ch Adhikary 2009
ক্ষত্রিয় সমিতি – লেখাইয়া অসীম রায়।
রাজবংশী জন জাতিকে নিয়ে লেখা:রাজবংশী /কামতাপুরী ভাষা।