রাজবংশী জনজাতিকে নিয়ে লেখা:রাজবংশী/ কামতাপুরী ভাষা :

দ্বিতীয় পাঠ

“রাজবংশী জাতির জনজীবন”

রোহিত বর্মন

দোতারা রাজবংশী জনজাতির একটা মনের ভাব প্রকাশের বাদ্যযন্ত্র। এই দোতারা দিয়া বুড়া চ্যাংরা কতোয় না মনের সুখ দুঃখ এর গান গায়া গেইছে। এলাং দোতারা ভাওয়াইয়া গিদালের থেকে একটা অমূল্য বাদ্যযন্ত্র। এই দোতারা যায় তায় ডাংগের না পায়। মুখআন্দারি হইলে সেই ডারিঘরত কি সুন্দর চ্যাংরা বুড়ার দোতারা ডাংগা গান। এলা আর শুনা যায় না কারন এলা কার চ্যাংরা বুড়া সগায় শিক্ষিত ভদ্র মোবাইল টিভি নিয়া ব্যস্ত। হায় রে হামার সখের দোতারা তুই হারালু কোটে। তোক ওকটাই কোটে এলা। এই দোতারা ডাংগেয়া আগের কার চ্যাংরা লা চ্যাংরিক প্রেমত ফাসাই ছিলো। আর এলা কার ছাওয়া ছোটোলা সেই দোতারা দেখিয়া হাসে মনে মনে। এলাং দেখা যায় দোতারা যায় যায় ভাওয়াইয়া প্রেমিক তার তার নগত। এলাং দোতরা ডাংগা গান শোনা যায় ভাওয়াইয়া শিল্পী গুলার মুখত, তাক তাক প্রনাম জানাং যায় যায় এলাং ভাওয়াইয়া গান আর দোতারা ডাংগায়। এই দোতারা বাংলাদেশের কিছু কিছু জাগাত দেখা যায় ভাওয়াইয়া শিল্পী লার হাতোত। এই রাজবংশী জনজাতির মানষি লার হাত থেকে দোতারা হারে গেইলে ও কিন্তুু মন থেকে এলাং হারায় নাই।

রাজবংশী জনজাতিলা এলা সগায় শিক্ষিত তায় আর এইলা জিনিস পছন্দ করে না। এমরা এলা আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়া চলির নাগছে। ওয় যে কথায় আছে না কুকুর যতই গু খায়া মুখ ধুক তাও কুকুরের মুখ গুগু গোনদায়বে। হামার রাজবংশী মানষি লা যতোয় ফোট্টোয়ান্টি করি বেরাক না কেনে নাম শুনলে কয়া দিবে রাজবংশী তোমা।। মোর সগ রাজবংশী জনজাতির মানষি লার নগত আবদার রইল কাও যেনে আর এয়ারকি ঠাট্টা না করেন। এই দোতারা রাজবংশী মানষি লাক অনেক সুখ আর আনন্দ দিছে, তার জন্য বুড়া লা এলাং দোতারাক ভুলির না পায়। এলা কার ছাওয়া লা দোতারা ছাড়ি হাতত নিছে গিটার, এই গিটার আর কি দিবার পায় সেই দোতারার টান আর শুর। এই দোতারা এখান খালি মাত্র কাঠের বাদ্যযন্ত্র আর এই কাঠের যন্ত্র খানের এই জনজাতিক আজীবন ধরি খুশি আর আনন্দ দিয়া আসছিলো। আশা করং এই বিশাল জনজাতির মনত এই দোতারা খান ছিলো আর থাকবে।।

…….চলবে….

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *