ভাষা হৈল্ মূলযন্ত্র – ভাবপ্রকাশের, জ্ঞান লাভের, সফলতার..

💡চাতুরা মানষি তোমাক পোথোমে উমার জাগাত (ভাষা, জাগা) নিয়া যাইবে, তারপাছত্ তোমাক হারাইবে। উমরা উমার ভাষাত কৌক, তোমরা তোমার ভাষাত কন, দ্যাখেন তো কায় জেতে। তোমরা উমার ভাষা বুঝলেও ভুল করি উমার ভাষাত তর্ক করির যাইবেন না, গেইলেন তো হারিলেন।

(কোনো ভাষাত কথা কওয়া আলদা, ল্যাখা আলদা আর ঝগড়া /debate করা আলদা জিনিস )✅

💥ঝগড়া মাতৃভাষাতেই (জন্মের পর আইওর মুখ থাকি শেখা ভাষা) সবথাকি ভাল্ করা যায়
🔥অচানক্ উষ্টা খাইলে বা কারো সাথত্ কথা কাটাকাটি হৈলে আচম্কা “” গালি”” টা মাতৃভাষাতেই বাহির হয়।

বিঃদ্রঃ আঈও বা ডাঙর আঈওর মাতৃভাষাই এটিখোনা কওয়াইয়ার মাতৃভাষা বিবেচিত হৈবে।।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের সেই বিখ্যাত কবিতাখান আর একবার পড়ি নেও।

হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;

তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,

পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ

পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।

কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি।

অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়, মনঃ

মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;-

কেলিনু শৈবালে; ভুলি কমল-কানন!

স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে –

“ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,

এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?

যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!

“পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে

মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে।